" আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধসহ ফেসবুক পোস্টে নাহিদ ইসলামের ৩ দাবি - dailymorning.online

banner

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধসহ ফেসবুক পোস্টে নাহিদ ইসলামের ৩ দাবি





আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধসহ তিন দাবির কথা জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

আজ শুক্রবার ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এসব দাবির কথা জানান তিনি।

নাহিদের দেওয়া ওই পোস্টে ৩ দাবির মধ্যে রয়েছে, ‘আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করতে হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে আওয়ামী লীগের দলগত বিচারের বিধান যুক্ত করতে হবে। জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করতে হবে।’

এর আধাঘণ্টা পরে দেওয়া আরেক পোস্টে শাহবাগের চলমান অবরোধের বিষয়ে এনসিপির আহ্বায়ক লিখেছেন, ‘শাহবাগের অবস্থান চলমান থাকবে। দলমত নির্বিশেষে আওয়ামী লীগ ও দেশের সার্বভৌমত্ব প্রশ্নে জুলাইয়ের সকল শক্তি এক থাকবে এটাই প্রত্যাশা। ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ব্লকেড চালু হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত না আসলে সমগ্র বাংলাদেশ আবারো ঢাকা শহরে মার্চ করবে।’
 
নাহিদ আরও জানিয়েছেন, ‘দেশের সার্বভৌমত্ব বিরোধী, স্বাধীনতা বিরোধী, জুলাই বিরোধী, গণতন্ত্র বিরোধী, ইসলাম বিরোধী, নারী বিরোধী, মানবতা বিরোধী ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসী মুজিববাদী সংগঠন আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধকরণে বাংলাদেশপন্থী সকল শক্তি ঐক্যবদ্ধ হই।’

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ এবং দলটির নেতাদের বিচারের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ অবরোধ করেছে এনসিপি। আজ শুক্রবার বিকেলে এই অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়। এতে নেতৃত্ব দেন দলটির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ। তাদের সঙ্গে যোগ দেন বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

এর আগে দুপুরে একই দাবিতে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে সমাবেশ করেন তারা। এসময় হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বে না ছাত্র-জনতা।’ 

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘বাংলাদেশের মূলত অগ্রগতি সেদিন থেকে শুরু হবে, যেদিন বাংলাদেশে টাইটেল পাবে, বাংলাদেশ উইথআউট আওয়ামী লীগ। আমরা সেই টাইটেল দেওয়ার জন্য কিছুক্ষণ আগে মানুষের সমাগম করার জন্য এ জায়গা বেছে নিয়েছিলাম। এ জায়গা থেকে আমরা এখন রাস্তা ব্লকেড করব।’

এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘ইন্টেরিমের কানে আমাদের কথা পৌঁছায় নাই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কানে আমাদের আওয়াজ পৌঁছায় নাই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আহতদের আওয়াজ পৌঁছায় না, আহতদের আর্তনাদ পৌঁছায় না, আমরা এখান থেকে গিয়ে শাহবাগে অবরোধ করব। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি না করা পর্যন্ত আমরা জায়গা ছাড়ব না।’

এর আগে বিকেল পৌনে তিনটার দিকে সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী এবং সাধারণ ছাত্র-জনতাকে প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন হাতে অংশ নিতে দেখা গেছে। 

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা-কর্মীরা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেন। রাত পেরিয়ে শুক্রবার সকালে এবং এখনো এনসিপির নেতা-কর্মীদের যমুনার প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। 

এর আগে গত বছরের ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

banner