‘কাশ্মিরিদের ওপর ভরসা আছে, এসেছি যখন ঘুরব’

 

ভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার পর অনেকে আতঙ্কিত হয়ে এলাকা ছাড়লেও বিপরীত দিকে হাঁটছেন কিছু পর্যটক। হামলার পরও কাশ্মির ভ্রমণ করবেন বলে জানিয়েছেন তারা। পর্যটকরা বলছেন, ‘‘কাশ্মিরে যখন আসছি, তখন ঘুরে যাবো। কাশ্মিরিদের ওপর আমাদের আস্থা আছে।’’

দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্র থেকে কাশ্মিরে ঘুরতে আসা দুই নারী পর্যটক বলেন, ঘটনার দিন পেহেলগামেই ছিলাম। তবে যেখানে হামলা হয়েছে, তার কাছাকাছি ছিলাম না। আত্মীয়রা ফোন করে বারবার ফিরে যেতে বলছিলেন। কিন্তু আমরা ভয় পাইনি। আমরা কাশ্মিরেই থাকব, ঘুরব।

তাদের সঙ্গে আসা আরেক পর্যটক বলেন, স্থানীয়দের আতিথেয়তা অসাধারণ। কাশ্মিরিরা যে ভালোবেসে পর্যটকদের আপন করে নেন, সেটাই আমাদের সাহস জুগিয়েছে। আমাদের কখনও ধর্ম নিয়ে কিছু বলেননি। বরং হামলার পর তারাই আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে সবচেয়ে বেশি চিন্তিত ছিলেন।

তিনি বলেন, আমাদের গাড়িচালকের ব্যবহার এবং নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা করার বিষয়টি প্রমাণ করে যে সেখানকার মানুষেরা সত্যিই পর্যটকদের প্রতি আন্তরিক। ধর্ম পরিচয় না জেনেও চালকের নিরাপদে হোটেলে পৌঁছে দেওয়ার ঘটনাটি মানবতার এক সুন্দর উদাহরণ।

এর আগে, গত মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগাম অঞ্চলের জনপ্রিয় পর্যটন স্পট বৈসরন উপত্যকায় বন্দুকধারীদের হামলায় কমপক্ষে ২৬ জন নিহত ও ১৭ জন আহত হন। এই হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে নয়াদিল্লি ইসলামাবাদের সঙ্গে কয়েক দশকের পুরোনো সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত এবং পাকিস্তানি নাগরিকদের আগামী ১ মের মধ্যে ভারত ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এই ঘটনায় চিরবৈরী দুই প্রতিবেশী দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে চরম উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। আনন্দবাজার।