ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরের আগে গোপনে পরামর্শ দিচ্ছেন জামাতা কুশনার
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আসন্ন মধ্যপ্রাচ্য সফরের আগে তাঁর জামাতা ও সাবেক সিনিয়র উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনার প্রশাসনের কর্মকর্তাদের গোপনে পরামর্শ দিচ্ছেন। যদিও তিনি এর আগে রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, কুশনার বর্তমানে সৌদি আরব, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতাদের সঙ্গে আমেরিকার নতুন অর্থনৈতিক চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে কুশনার তাঁর মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ দূতের দায়িত্ব পালন করেন। ইসরায়েলের সঙ্গে কয়েকটি আরব দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে ‘আব্রাহাম চুক্তি’ সই করার ক্ষেত্রেও সহায়তা করেন তিনি। তবে বর্তমানে হোয়াইট হাউসে কোনো আনুষ্ঠানিক পদে নেই কুশনার, কিন্তু পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করছেন।
মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে আগামী সপ্তাহে সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করবেন ট্রাম্প। তবে কুশনার এ সফরে থাকবেন না বলে জানা গেছে। গাজা সংঘাত এবং ইরানের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিভাজন ট্রাম্পের এই সফরের প্রেক্ষাপটকে আরও জটিল করে তুলেছে।
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া রিয়াদ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে না। পাশাপাশি গাজা যুদ্ধের স্থায়ী অবসানও চেয়েছে রিয়াদ। এর কোনোটিই এখন ঘটার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
এ অবস্থায় ট্রাম্প কীভাবে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে দূরত্ব কমিয়ে আনবেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কুশনারের ঘনিষ্ঠরা বলছেন, তিনি (কুশনার) মনে করেন ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি রাষ্ট্র গঠনের পথ নিশ্চিত করলেই ট্রাম্প প্রশাসনের কিছু প্রস্তাব যুবরাজকে তাঁর অবস্থান থেকে সরাতে পারে।
এই সফরের অংশ হিসেবে, ট্রাম্প রিয়াদে অনুষ্ঠিতব্য সৌদি-যুক্তরাষ্ট্র বিনিয়োগ ফোরামে অংশ নেবেন। যেখানে ইলন মাস্ক, মার্ক জাকারবার্গ এবং ল্যারি ফিঙ্কসহ শীর্ষ মার্কিন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা (সিইও) উপস্থিত থাকবেন। এই সম্মেলনের লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব জোরদার করা।