" পাকিস্তান- ভারত যুদ্ধে চীনের গোপন উল্লাস! - dailymorning.online

banner

পাকিস্তান- ভারত যুদ্ধে চীনের গোপন উল্লাস!


টানা চার দিন ধরে চলে পাল্টাপাল্টি হামলা। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আকাশে-মাঠে উত্তেজনা পৌঁছায় চরমে। প্রাণহানির ঘটনা ঘটে দুই দেশেই। ক্ষতি হয় সাধারণ মানুষের জীবন ও জীবিকার। অবশেষে যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তে পৌঁছায় দুই দেশ, সাময়িকভাবে স্বস্তি ফিরে আসে উপমহাদেশে। কিন্তু এই সংঘাতে সবচেয়ে লাভবান হয়েছে তৃতীয় পক্ষ—চীন।

 

 

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই যুদ্ধ পরিস্থিতি চীনের জন্য একটি কৌশলগত ‘সুযোগের জানালা’ খুলে দেয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, এই সংঘাতকে ঘিরে গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করেছে চীন। বিশেষ করে, পাকিস্তানের হয়ে চীনা প্রযুক্তিতে তৈরি JF-17 Thunder যুদ্ধবিমান (যা ‘ভিগোরাজ ড্রাগন’ নামেও পরিচিত) ব্যবহার হওয়ায় নিজেদের সামরিক প্রযুক্তি ও সক্ষমতা যাচাইয়ের দুর্লভ সুযোগ পেয়েছে বেইজিং।

পাকিস্তানের দাবি, চীনা JF-17 যুদ্ধবিমান দিয়েই তারা ভারতের অন্তত পাঁচটি রাফায়েল যুদ্ধবিমান গুলি করে নামিয়েছে। যদিও ভারত এই দাবি নাকচ করেছে, তবে সাম্প্রতিক সময়ে এটিকে অন্যতম বড় আকাশযুদ্ধ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

 

 

এই লড়াইয়ের পটভূমিতে চীনের সামরিক, কৌশলগত ও অর্থনৈতিক লাভ অনেকটাই স্পষ্ট।
চীনা যুদ্ধবিমানের কার্যকারিতা প্রকাশ্যে আসায় আন্তর্জাতিক বাজারে দেশটির সমরাস্ত্র রপ্তানির চাহিদা বেড়ে গেছে। 'ডিফেন্স টক' অনুসারে, সংঘাতের পরপরই চীনের সামরিক খাত সংক্রান্ত বিনিয়োগ প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। এতে করে ফ্রান্সসহ পশ্চিমা রপ্তানিকারক দেশগুলো পড়েছে চাপে, বিশেষ করে রাফায়েলের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠায়।

বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তানের সঙ্গে চীনের চায়না-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডর (CPEC) এবং স্ট্রিং অফ পার্লস প্রকল্পগুলো ইতিমধ্যে কৌশলগত গুরুত্ব বহন করছে। এই সংঘাতে পাকিস্তানকে কার্যত সমর্থন দিয়ে চীন আরও একধাপ এগিয়ে নিয়েছে নিজেদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক।

 

 

এদিকে মহাকাশ প্রযুক্তি, ক্ষেপণাস্ত্র ও নজরদারি ব্যবস্থায় চীন উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখিয়েছে এই সুযোগে। তাই ভারত-পাকিস্তান সংঘাত সাময়িকভাবে দুই দেশের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনলেও, বৃহৎ ভূরাজনৈতিক খেলায় চীন নিজের অবস্থান আরও মজবুত করেছে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

banner