দেশের ৫০% এনআইডিতে রয়েছে ভুয়া জন্মতারিখ
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সঠিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছেন, “বাংলাদেশে যত মানুষ ১ জানুয়ারিতে জন্মগ্রহণ করেছে, পৃথিবীর আর কোনো দেশে এত নয়।”
তিনি বলেন, “মানুষের এনআইডি নিয়ে এমন দুরবস্থা বিশ্বাসযোগ্য নয়। বর্তমানে প্রস্তাব দিচ্ছি—দেশের প্রতিটি হাসপাতালকে এই প্রক্রিয়ার আওতায় আনতে হবে। কোনো সন্তান জন্মগ্রহণ করলে, সেখানেই জন্মসনদ প্রস্তুত করে দিতে হবে। এটি বাধ্যতামূলক করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “হাসপাতাল থেকে সনদ দিয়ে নির্দিষ্ট তারিখে জন্মের প্রমাণ দিতে হবে। দায়িত্বরতদের দায়িত্ব হবে—এই কাজটি সম্পন্ন করা। না হলে দেখা যায়, কেউ ৬০ বছর বয়সে এসে নিজের জন্মতারিখ বলতে পারে না। কেউ জানে না সে কবে জন্মেছে, কার সন্তান—এইরকম উদ্ভট অবস্থা।”
ড. ইউনূস জানান, দেশের জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, প্রায় ৫০ শতাংশেরও বেশি নাগরিকের জন্মতারিখ সঠিক নয়, যা হতে পারে আরও বেশি।
তিনি এটিকে জাতীয় পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হিসেবে তুলে ধরে বলেন, “একজন মানুষের পরিচয় শুধু নাম নয়, জন্মতারিখসহ তার সঠিক তথ্য থাকা নাগরিক অধিকার। অথচ আমাদের অনেকের পরিচয় গড়ে ওঠে—অমুকের ছেলে, অমুকের মা, অমুকের শাশুড়ি হিসেবে। কিন্তু নিজের নামে কোনো তথ্য নেই। তাই জন্মের পরপরই শিশুর নাম ও জন্মতারিখ নির্ধারণ করে রেজিস্ট্রেশন নিশ্চিত করতে হবে।”