পাকিস্তানের হামলা ঠেকাতে এস-৪০০ ব্যবহার করছে ভারত
ভারতের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের অন্তত ১৫টি শহরে সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে পাকিস্তান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে নয়াদিল্লি। বুধবার রাতভর ও বৃহস্পতিবার সকালে জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাব এবং গুজরাটসহ বিভিন্ন এলাকায় এসব হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। তবে ভারতের দাবি— এসব হামলা তাদের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে প্রতিহত করা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই ও একাধিক সরকারি সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানের হামলা ঠেকাতে তাদের সামরিক বাহিনী রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম এবং ইসরায়েলি হারপি ড্রোন ব্যবহার করেছে।
সূত্র জানায়, বুধবার গভীর রাতে পাকিস্তান থেকে আসা ‘মুভিং টার্গেট’ শনাক্ত করে ভারতীয় বিমানবাহিনী এস-৪০০ সিস্টেম দিয়ে তা ভূপাতিত করে। এরপর পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা রাডার সিস্টেম, বিশেষ করে লাহোরে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ রাডার সাইট, হারপি ড্রোন দিয়ে ধ্বংস করে দেওয়া হয়।
ভারত সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাব ও গুজরাটসহ দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের অন্তত ১৫টি শহরে পাকিস্তান সেনাবাহিনী সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল। তবে ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সক্রিয়তায় এসব হামলার চেষ্টাকে ব্যর্থ করে দেওয়া হয়। পাল্টা জবাবে পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অকার্যকর করে দেয় ভারতীয় বাহিনী।
সরকার আরও জানিয়েছে, পাকিস্তানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ধ্বংসের পর তাদের ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করা হচ্ছে। এসব ধ্বংসাবশেষ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন ও সামরিক প্রশিক্ষণের অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে আন্তর্জাতিক মহলের সামনে তুলে ধরা হবে।
এই উত্তেজনার সূত্রপাত ঘটে ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর। এর জবাবে ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর আওতায় পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মিরের ৯টি শহরে হামলা চালায়। এতে ১০০ জনের বেশি জঙ্গি নিহত হয় বলে দাবি করেছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
এনডিটিভি জানায়, পাকিস্তানের রাডার সিস্টেম ধ্বংসে ইসরায়েলের তৈরি হারপি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে শত্রুর রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি নির্ধারণ করে সেই লক্ষ্যবস্তুতে সরাসরি আঘাত হানতে সক্ষম। দিনে বা রাতে, দীর্ঘক্ষণ ধরে মিশন চালাতে সক্ষম এই ড্রোন প্রায় ৯ ঘণ্টা পর্যন্ত আকাশে থাকতে পারে।
আর রাশিয়ার তৈরি অত্যাধুনিক এস-৪০০ সিস্টেম ৬০০ কিমি দূর থেকে টার্গেট শনাক্ত করতে এবং ৪০০ কিমির মধ্যে তা ভূপাতিত করতে সক্ষম। ভারত ৩৫ হাজার কোটি টাকার চুক্তিতে এই সিস্টেমের ৫টি স্কোয়াড্রন কিনেছে। ইতোমধ্যে ৩টি স্কোয়াড্রন ভারতীয় সীমান্তে সক্রিয়ভাবে মোতায়েন রয়েছে।