পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেমের মতো গাজাও ফিলিস্তিনিদের: এরদোয়ান
এদিন রাজধানী আঙ্কারায় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর করা মন্তব্যে এরদোয়ান বলেন, 'ইনশাআল্লাহ, আমাদের গাজার ভাইবোনেরা চিরকাল তাদের জন্মভূমিতে বসবাস করতে থাকবে, যেখানে তারা জন্মগ্রহণ করেছে।' এরদোয়ান উল্লেখ করেন, গত ১৮ এপ্রিল তুরস্কে আয়োজিত 'ফিলিস্তিনের পক্ষে সংসদীয় গ্রুপের' বৈঠকও তুরস্কের ফিলিস্তিন ইস্যুতে অবস্থানকে বিশ্বের সামনে স্পষ্ট করে দিয়েছে। তিনি বলেন, 'ফিলিস্তিনিদের প্রতি তুরস্কের সমর্থন বিশ্ব জুড়ে সুপরিচিত।'
এরদোয়ান আরো বলেন, 'ফিলিস্তিনি জনগণ বারবার প্রমাণ করেছে সব ধরনের কঠোরতা ও নৃশংসতার মুখেও তারা কখনোই আত্মসমর্পণ করবে না, নিজেদের মাতৃভূমি ত্যাগ করবে না এবং দমন-পীড়নের কাছে মাথানত করবে না।' তিনি উল্লেখ করেন, গত ১৮ মাস ধরে গাজা বিশ্ববাসীকে একদিকে যেমন ইতিহাসের নিকৃষ্টতম গণহত্যার সাক্ষী করেছে, তেমনি মানবতার গর্ব করার মতো এক মহাকাব্যিক প্রতিরোধের নজির স্থাপন করেছে।
গাজায় ইসরাইলের বর্বরতার কঠোর সমালোচনা করে এরদোয়ান বলেন, রক্তপাত ও মানবিক সহায়তা বন্ধ করে সেখানে কিছুই অর্জন করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, 'আরও শিশু হত্যা করে, মানুষকে অনাহারে, তৃষ্ণায় ও ওষুধের অভাবে রেখে গাজায় কোনো সমাধানে পৌঁছানো যাবে না। এখন সময় এসেছে সবাই যেন তা উপলব্ধি করে।' প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান সবাইকে আহ্বান জানান, যেন তারা 'নিজেদের শুভবুদ্ধির কাছে ফিরে আসে' এবং অঞ্চলে স্থিতিশীলতার জন্য তৈরি হওয়া সুযোগগুলো হেলায় নষ্ট না করে। তিনি বলেন, 'আমাদের সব কথাবার্তা এই অঞ্চলটির শান্তি, নিরাপত্তা ও সব জনগোষ্ঠীর সহাবস্থানের জন্য। ইনশাআল্লাহ, ভবিষ্যতেও আমরা শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য কাজ করে যাব।'